Apan Desh | আপন দেশ

ন্যাটো সম্মেলনের আগে লন্ডনে বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৩৩, ১০ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ১৮:৫১, ১০ জুলাই ২০২৩

ন্যাটো সম্মেলনের আগে লন্ডনে বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

লিথুনিয়ায় ন্যাটোর আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে ইউরোপ সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরই অংশ হিসেবে স্থানীয় সময় রোববার (৯ জুলাই) ব্রিটেনে পা রাখেন তিনি। সেখানে অবস্থানকালে তিনি ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এবং প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে। ব্রিটেন থেকে ন্যাটোর নতুন সদস্য দেশ ফিনল্যান্ডে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।

এদিকে লন্ডনে যাওয়ার আগে বাইডেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। বাইডেন তাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় সুইডেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ন্যাটোয় যোগ দিক।

অপরদিকে বাইডেনকে এরদোয়ান বলেছেন, ন্যাটোর সদস্য হতে হলে সুইডেনকে ঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলেই তুরস্ক তাদের সমর্থন করবে। সুইডেন এখনও পর্যন্ত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। পিকেকে সমর্থকরা এখনও সেখানে বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছে। তুরস্কের দাবি, পিকেকে-কে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাইডেনকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় লন্ডনের উত্তরে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

সোমবার (১০ জুলাই) তিনি উইন্ডসর ক্যাসেলে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রাজ্যাভিষেকের পর প্রথমবারের মতো চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে বাইডেনের। রাজ্যাভিষেকে বাইডেন উপস্থিত ছিলেন না। তবে মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে বাইডেন বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়। তারা পরিবেশের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

মূলত আসন্ন ন্যাটো সম্মেলনকে মাথায় রেখেই ইউরোপে সফর করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে উৎখাত করতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার বিষয়ে আলোচনা করবে।

এদিকে সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে পশ্চিমা দেশগুলোকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। তবে রোববার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমনটা হবে না।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যাতে ন্যাটোর সদস্য হতে পারে, তার জন্য ন্যাটোর নেতারা একটা যুক্তিসঙ্গত পথ তৈরি করবেন। ন্যাটোর সদস্য হতে গেলে সবকটি শর্ত পূরণ করতে হবে ইউক্রেনকে। সম্পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিষয় আছে। ইউক্রেনকে ন্যাটোর মধ্যে নিয়ে আসার অর্থ হলো, রাশিয়ার সঙ্গে সার্বিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা শুরু করে রাশিয়া। ৫০০ দিনের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। এখন পর্যন্ত  যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ জনই শিশু। রাশিয়ার হামলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়