Apan Desh | আপন দেশ

গভীর নিম্নচাপটি রাতেই ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি‘ রূপ নিতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২০:৪২, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

গভীর নিম্নচাপটি রাতেই ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি‘ রূপ নিতে পারে

স্যাটেলাইট ছবি

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে আজ (১৬ নভেম্বর) দিনগত গভীর রাতেই। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মিধিলি।’ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, এটি বাংলাদেশের দিকেই আসছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি খুব বড় মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হবে না।

তিনি বলেন, গভীর নিম্নচাপটি এখন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে বা শনিবার ভোরে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এর আগে গত ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এতে ওই এলাকায় প্রাণহানি এবং বসতবাড়ি ও ফসলও নষ্ট হয়। এরপর আবার নতুন আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা জানাল আবহাওয়া অফিস।

আজিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে বা ভোরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি পটুয়াখালীর খেপুপাড়া থেকে চট্টগ্রামের উপকূলের মাঝ বরাবর অতিক্রম করতে পারে। ভোলা জেলার দিকেই এর মূল অংশ যেতে পারে। এটি ছোট আকারের ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। তবুও তা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে আমরা আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসব।

এদিকে বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৬৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা  থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী ( ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত (পুনঃ) ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতদেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাবাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপ সাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

এদিন সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা (১-৪) ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়