Apan Desh | আপন দেশ

অভিশ্রুতির মাকে আনা হয়েছে ঢাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ৪ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১০:২৬, ৪ মার্চ ২০২৪

অভিশ্রুতির মাকে আনা হয়েছে ঢাকায়

ফাইল ছবি

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা শেষ হয়নি। নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি নাকি বৃষ্টি খাতুন সেই পরিচয় নির্ধারণে রোববার (৩ মার্চ) তার বাবা সবুজ শেখের ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল নেয়া হয়েছে। তার মা বিউটি বেগমের স্যাম্পল নেয়ার জন্য ডাকা হয়েছে ঢাকায়।

রোববার বিকালে বিউটি বেগম ও তার স্বজনরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। বিউটি বেগম বলেন, আমরা এখন ঢাকায় যাচ্ছি।

অভিশ্রুতির বাবা সবুজ শেখ বলেন, থানা থেকে অপমৃত্যুর কাগজপত্র পেয়েছি। অন্যান্য কাগজপত্রও প্রস্তুত। আমার ও বৃষ্টির ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল নিয়েছে। ওর মা স্যাম্পল দেয়ার জন্য ঢাকায় আসছেন। আজ সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ১০টায় আবার রমনা থানায় যাবো। সেখান থেকে ডিএনএ টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সব মিলে গেলেই আমরা মরদেহ বুঝে পাব, এমনটিই বলেছে পুলিশ।

বেতবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, আমরা উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছি। গ্রামের মানুষ বৃষ্টির মরদেহ আসার অপেক্ষায় আছে।

এদিকে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। অভিশ্রুতি ও বৃষ্টি খাতুন নামে দুজন একই ব্যক্তি বলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আরও পড়ুন <> বৃষ্টি না অভিশ্রুতি সুরাহা আদালতে

এনআইডি সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতি নামের ব্যক্তি বাস্তবে বৃষ্টি খাতুন। তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) সংশোধন চেয়ে আবেদন করেছেন। আবেদনটি ‘গ’ ক্যাটাগরিতে আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এনআইডি সংশোধন আবেদনে জানা যায়, বর্তমান এনআইডি অনুযায়ী তার নাম আছে বৃষ্টি খাতুন, বাবার নাম সবুজ শেখ। এনআইডি সংশোধনে তিনি নিজের নাম বৃষ্টি খাতুন থেকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ও পিতার নাম সবুজ শেখ থেকে মো. শাবরুল আলম এবং জন্মসাল ১৯৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর সংশোধন চেয়েছেন। অভিশ্রুতি শাস্ত্রী (বৃষ্টি খাতুন) গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজ নাম, পিতার নাম ও জন্মসাল পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেন। 

জাতীয় পরিচয়পত্রে এসব তথ্য সংশোধনের জন্য ২০২২ সালের নিবন্ধন করা জন্মসনদ, পিতার এনআইডি, মাতার এনআইডি ও ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকত্ব সনদ দাখিল করেছেন। তবে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী যে জন্মসনদ দিয়ে আবেদন করেছিলেন সেটি ভুয়া ছিল।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়