Apan Desh | আপন দেশ

‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের আগে বউদের শাড়ি পোড়ান’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ২৭ মার্চ ২০২৪

‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের আগে বউদের শাড়ি পোড়ান’

ভিডিও থেকে নেয়া ছবি

ভারতীয় পণ্য বর্জনের করার আগে বউদের শাড়ি পোড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, যারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করছেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? তাহলে বউদের কাছ থেকে সে শাড়িগুলো এনে কেন পুড়িয়ে দিচ্ছে না? সবাই একটু এ কথাটা বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞেস করেন। 

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপির বহু মন্ত্রীর বউ ভারত যেত। শাড়ি কিনে এনে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াত। আমার পরিচিত অনেকজন দেখেছে, আমি নিজেও দেখেছি। একবার প্লেনে যাওয়ার সময় দেখি পাঁচজন এক সঙ্গে, আমি জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার? পাঁচ মন্ত্রীর বউ একই সঙ্গে? কলকাতার এয়ারপোর্টে আমার চেনা জানা লোকজন ছিল, তো আমি বললাম যাওয়ার সময় কয় স্যুটকেস আর ফেরার সময় কয়টা স্যুটকেস আমায় একটু খবর দিও। আমি যাচ্ছিলাম ব্যাঙ্গালুরে আমার সন্তানদের দেখতে। পরে ঠিকই জানাল, আসার সময় একটা করে স্যুটকেস নিয়ে আসলেও ফেরার সময় ৬/৭টা করে স্যুটকেস নিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, বললাম আমার তো আর শাড়ি কেনা লাগবে না। এরা যে নিয়ে যাচ্ছে ওখান থেকেই পাওয়া যাবে কিছু। এ হলো তাদের অবস্থা। আমি বিএনপি নেতাদের বলবো যারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন সবার বাড়িতে যেয়ে তার বউদের ভারতীয় শাড়ি অফিসের সামনে এনে পোড়াবেন। সেদিন বিশ্বাস করবো যে আপনারা সত্যিকারে ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আমাদের দেশে গরম মশলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা যা কিছু ভারত থেকে আসছে তাদের কারও রান্না ঘরে যেন ভারতীয় মশলা না দেখা যায়। তাদের রান্না করে খেতে হবে এসব মশলা দিয়ে। কাজেই এটা তারা খেতে পারবে কি না এ জবাবটা তাদের দিতে হবে। আপনারা রঙ ঢঙ করতে উস্তাদ, এটা আমরা আগেও দেখেছি। এখন বাস্তবতায় আসুন, আপনারা ভারতীয় পণ্য আসলেই বর্জন করছেন কিনা এ কথাটাই আমরা জানতে চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে নাকি গণতন্ত্র নাই? তাহলে গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটা কি? আব্রাহাম লিংকনের সংজ্ঞাটা হচ্ছে গভমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল। আমি যখন আমেরিকায় গিয়েছিলাম তখন এদের জিজ্ঞেস করলাম আপনাদের দেশে তো এ চর্চাটা করেন কিন্তু আমাদের দেশে যখন মার্শাল ল আসে তখন আপনারা এটাকে সমর্থন দেন কেন? আমি নির্বাচিত হলে গণতন্ত্র দেখে না। কিন্তু যখন ক্ষমতা দখল হয় তখন গণতন্ত্র দেখে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়