Apan Desh | আপন দেশ

হু হু করে বাড়ছে ওষুধের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ৩০ জুলাই ২০২২

আপডেট: ১৩:২৮, ৩১ জুলাই ২০২২

হু হু করে বাড়ছে ওষুধের দাম

জীবনরক্ষাকারী ওষুধ

দেশে এবার জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দেশে উৎপাদিত জীবনরক্ষাকারী জরুরি সব ওষুধের দাম বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। ব্যাপক চাহিদার ওষুধগুলো হু হু করে বাড়ানো হয়েছে। এতে সাধারণ ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সার্বিক বিবেচনায় ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওষুধ কোম্পানির মালিকরা তাদের মনগড়া মত দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন। ২০ টাকার নাপা সিরাপ এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা। শুধু নাপা সিরাপ নয়, প্রায় ৫৩টি জরুরি ওষুধের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। দাম বেড়ে যাওয়া ওষুধগুলোর প্রায় সবকটি বহুল ব্যবহৃত। ওষুধ ক্রেতারা বলছে, তারা অর্থনৈতিক সম্যসায় রয়েছেন। এরমধ্যে যদি জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দামও বাড়তে থাকে তাহলে মানুষের অবস্থা দিনদিন আরো খারাপ হয়ে যাবে।

জানা যায়, প্যারাসিটামলসহ প্রায় ৫৩টি জরুরি ওষুধের দাম বেড়েছে।

ওষুধের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন বলেন, আমরা বেশ কিছু ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। তাছাড়া ওষুধের কাঁচামালের দামও বেড়েছে। সেই অনুযায়ী এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কারণে অনেকেই মনে করছেন ওষুধের দাম বাড়ছে। মূলত কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছু ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে যদি কোনো ওষুধ কোম্পানি এসব ওষুধের দাম বেশি নেয় তাহলে এটা অপরাধের মধ্যে পড়বে।

তিনি বলেন, বেশ কিছু ওষুধের দাম সরকারিভাবে নির্ধারিত হয়েছে। এর বাইরে বেশি দাম রাখার কোনো সুযোগ নেই। যদি ওষুধের কাঁচামালের দাম কমে যায় তাহলে যেসব ওষুধের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে সেসব ওষুধের দামও কমে যাবে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, ওষুধের দাম বাড়ার বিষয়টি আমাদের উপর নির্ভর করে না এটা ওষুধ কোম্পানির বিষয়। তা ছাড়া ওষুধের দাম বাড়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো লিস্ট বা তথ্য এখনো অফিসিয়ালি আসেনি। এ জন্য আপাতত এ বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারছি না। পরে বিস্তারিত বলতে পারব।

রাজধানীর আজিমপুর, পলাশী, পুরান ঢাকা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন ফার্মেসিতে ওষুধের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে ওষুধের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানা গেছে।

ঢামেক হাসপাতাল এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মো.লুৎফর রহমান জানান, সব জিনিসের দাম বাড়ায় পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ওষুধের দাম বেড়ে গেছে। আগের দামে মানুষ ঠিকমত ওষুধ কিনতে হিমশিমের মধ্যে পড়তে হতো। এখনতো আরও ব্যাপক হারে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এ ব্যাপারে সরকারকে সাধারণ মানুষের কথা আরো চিন্তা করা দরকার।

নাপা (প্যারাসিটামল) সিরাপ। শিশুদের জ্বর নিরাময়ে বহুল ব্যবহৃত একটি ওষুধ। খুচরা বাজারে এই ওষুধ ২০ টাকা করে বিক্রি হতো। তবে এখন তা কিনতে হচ্ছে ৩৫ টাকায়। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বহুল ব্যবহৃত এমন আরও ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে। ওই সূত্রটি জানায়, এর মধ্যে বিভিন্ন মাত্রার প্যারাসিটামলের দাম বেড়েছে ৫০ ভাগের উপরে।

আজিমপুরের শাপলা ড্রাগ ফার্মেসির বিক্রেতা নজরুল ইসলাম জানান, নাপা সিরাপ আগে ২০ টাকা ছিল, এখন ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পলাশী মোড়ের চয়ন ফার্মেসির বিক্রেতা রাজু আহমেদ বলেন, নাপা সিরাপসহ বেশ কিছু ওষুধের দাম কোম্পানি একটু বেশি নিচ্ছে। ট্যাবলেটের মূল্য ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা, এখন করা হয়েছে ১২ টাকা। নাপা এক্সটেনড ছিল ১৫ টাকা, ওটা করা হয়েছে ২০ টাকা।

পুরান ঢাকায় জাকির হোসেন নামে একজন এক ক্রেতা প্রতিবেদককে বলেন, ঈদের বন্ধের মধ্যে নাপা সিরাপের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিছু কিছু দোকানে কয়েকদিন ঠিক দাম নিলেও আজ থেকে বেশি নিচ্ছে। তিনি বলেন, বহুল বিক্রিত ও চাহিদার জরুরি এই ওষুধটার দাম বাড়ানোর বিষয়টি একেবারেই অযৌক্তিক।

মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকার ওষুধ বিক্রেতা সাজেদুল ইসলাম জানান, ওষুধের দাম একটু বেড়েছে। নতুন দামে ওষুধ বাজারে আসতে শুরু করেছে। আমাদের যেসব ওষুধের দাম বেড়েছে সেসব বিষয় আমরা ওষুধ ব্যবসায়ীদের জানিয়েছি।

সার্বিক বিবেচনায় ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান আপন দেশ ডটকমকে বলেন, একজন মানুষ কাউন্টারে গিয়ে দর কষাকষি করতে পারে না। কিন্তু সরকার যখন কেনার চেষ্টা করবে, তখন সব উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দর কষাকষি করতে পারবেন। সরকার মানসম্মত ওষুধকে একদম ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করতে পারবে এবং তারপর মানুষ এটাকে সরবরাহ করবে। দেশের এই সময়ে ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আমার কাছে ভুল মনে হচ্ছে। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে দাম না বাড়িয়ে জনগণের স্বার্থে সরকারের উদ্যোগ নেয়া উচিত।

অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছেন, শুনেছি ৫৩টি ওষুধের দাম বেড়েছে। কাঁচামালের মূল্য বেড়েছে, দীর্ঘদিন যাবত আমরা মূল্য সমন্বয় করিনি। এই সময়ে মানুষের সংকটকালে ওষুধের দাম না বাড়াতে প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও কিছুদিন সময় নেওয়া উচিত ছিল।

ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল মালেক বলেন, নাপা সিরাপ এবং এই গ্রুপের ওষুধ তো ভালোই চলে। কাজেই এটা গরীবের ওষুধ। এর দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হচ্ছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  জানান, সম্প্রতি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়ের এক বৈঠকে এসব ওষুধের দামের বিবরণ তুলে ধরেন এবং সেখানে এ বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

যেসব ওষুধের দাম বেড়েছে

বিভিন্ন ফার্মেসিতে কথা বলে জানা গেছে, প্যারাসিটামল (৫০০ এমজি) ট্যাবলেট আগে ছিল ৭০ পয়সা, বর্তমান মূল্য এক টাকা ২০ পয়সা। প্যারাসিটামল (৫০০ এমজি) ট্যাবলেটের (র‌্যাপিড) মূল্য আগে ছিল ৭০ পয়সা, বর্তমানে এক টাকা ৩০ পয়সা। প্যারাসিটামল (৬৫০ এমজি) ট্যাবলেটের (এক্সআর) মূল্য আগে ছিল এক টাকা ৩১ পয়সা, বর্তমানে দুই টাকা। প্যারাসিটামল (১০০০ এমজি) ট্যাবলেট আগে ছিল এক টাকা ৪ পয়সা, বর্তমান মূল্য দুই টাকা ২৫ পয়সা।প্যারাসিটামল (৮০ এমজি) ড্রপস ১৫ এমএল বোতলের মূল্য আগে ছিল ১২ টাকা ৮৮ পয়সা, বর্তমানে ২০ টাকা। প্যারাসিটামল (১২০ এমজি/৫ এমএল) সাসপেনশন (৬০ এমএল) বোতলের মূল্য আগে ছিল ১৮ টাকা, বর্তমানে ৩৫ টাকা। প্যারাসিটামল (১২০ এমজি/৫ এমএল) সাসপেনশন ১০০ এমএল বোতল আগে ছিল ৩০ টাকা ৮ পয়সা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। প্যারাসিটামল (১২০ এমজি/৫ এমএল) সিরাপ (৬০ এমএল) বোতল আগে বিক্রি হতো ১৮ টাকায়, বর্তমান মূল্য ৩৫ টাকা। প্যারাসিটামল (১২০ এমজি/৫ এমএল) সিরাপ (১০০ এমএল) বোতলের মূল্য আগে ছিল ২৭ টাকা ৭২ পয়সা, বর্তমানে ৫০ টাকা। মেট্রোনিডাজল (২০০ এমজি) ট্যাবলেটের মূল্য আগে ছিল ৬০ পয়সা, বর্তমানে এক টাকা। মেট্রোনিডাজল (২৫০ এমজি) ট্যাবলেট কোটেডের মূল্য আগে ছিল ৯২ পয়সা আর বর্তমান মূল্য এক টাকা ২৫ পয়সা। মেট্রোনিডাজল (৪০০ এমজি) ট্যাবলেট কোটেডের আগের মূল্য এক টাকা ৩৭ পয়সা, বর্তমান মূল্য এক টাকা ৭০ পয়সা। মেট্রোনিডাজল (৫০০ এমজি) ট্যাবলেট কোটেডের মূল্য আগে ছিল এক টাকা ৬৬ পয়সা, বর্তমান মূল্য দুই টাকা। মেট্রোনিডাজল (২০০এমজি/৫এমএল সাসপেনশন ৬০ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ২৬ টাকা, বর্তমান মূল্য ৩৫ টাকা। মেট্রোনিডাজল (২০০এমজি/৫এমএল সাসপেনশন ১০০ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ৩৪ টাকা ৯২ পয়সা, বর্তমান মূল্য ৪৫ টাকা। মেট্রোনিডাজল (৫০০এমজি/১০০ এমএল ইনফিউশন, ১০০ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ৭৪ টাকা ৩৫ পয়সা, বর্তমান মূল্য ৮৫ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি (১২৫ এমজি/১.২৫ এমএল সাসপেনশন ১৫ মিলি) বোতলের আগের মূল্য ২৬ টাকা ৩৪ পয়সা, বর্তমান মূল্য ৩৫ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি (১২৫ এমজি/৫ এমএল সাসপেনশন ১০০ মিলি) বোতলের আগের মূল্য ৪১ টাকা ৪০ পয়সা, বর্তমানে ৭০ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি (২৫০ এমজি/৫ এমএল সাসপেনশন-ডিএস ১৫ মিলি) বোতলের আগের মূল্য ৬৭ টাকা ৯৪ পয়সা, বর্তমানে ১০০ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি (২৫০ এমজি) ক্যাপসুলের আগের মূল্য ৩ টাকা ১৫ পয়সা, বর্তমানে ৪ টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি (৫০০ এমজি) ক্যাপসুলের আগের মূল্য ৫ টাকা ৯০ পয়সা, বর্তমানে ৭ টাকা ৫ পয়সা। এমোক্সিসিলিন বিপি (৫০০ এমজি) ইনজেকশনের আগের মূল্য ২৪ টাকা ১০ পয়সা, বর্তমানে ৫৫ টাকা। জাইলোমেট্রোজালিন এইচসিআই (০.০৫% নাসাল ড্রাপ ১৫ এমএল) আগের মূল্য ৯ টাকা ৬০ পয়সা, বর্তমানে ১৮ টাকা। জাইলোমেট্রোজালিন এইচসিআই (০.১% নাসাল ড্রাপ ১৫ এমএল) আগের মূল্য ১০ টাকা ৪ পয়সা, বর্তমানে ২০ টাকা।প্রোকলেপেরাজিন (৫ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য ৪০ পয়সা, বর্তমানে ৬৫ পয়সা। প্রোকলেপেরাজিন (১২.৫ এমজি) ইনজেকশনের আগের মূল্য ৪ টাকা ৩৬ পয়সা, বর্তমানে ৯ টাকা। ডায়াজেপাম (১০এমজি/২এমএল) ইনজেকশনের আগের মূল্য ৩ টাকা ২২ পয়সা, বর্তমানে ৭ টাকা। মিথাইলডোপা (২৫০ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য এক টাকা ৫০ পয়সা, বর্তমানে ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। মিথাইলডোপা (৫০০ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য ৫ টাকা ১৩ পয়সা, বর্তমানে ৬ টাকা ৯ পয়সা। ফ্রুসেমাইড (২০ এমজি/২এমএল) ইনজেকশনের আগের মূল্য ৫ টাকা ৯৯ পয়সা, বর্তমানে ৯ টাকা। ফ্রুসেমাইড (৪০ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য ৫৬ পয়সা, বর্তমানে এক টাকা। ফেনোবারাবিটাল (৩০ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য ৬৮ পয়সা, বর্তমানে এক টাকা।ফেনোবারাবিটাল (৬০ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য এক টাকা, বর্তমানে এক টাকা ৫০ পয়সা। ফেনোবারাবিটাল (৫০ এমএল এলিক্সির ২০ এমজি ৫ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ২১ টাকা ৭৮ পয়সা, বর্তমানে ৪৩ টাকা। ফেনোবারাবিটাল (১০০ এমএল এলিক্সির ২০ এমজি/ ৫ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ৫০ টাকা, বর্তমানে ৭০ টাকা। ওআরএস (৫০০ এমএল) স্যাটেসের আগের মূল্য ৪ টাকা ৩৫ পয়সা, বর্তমানে ৬ টাকা। ওআরএস ফ্রুটি (২৫০ এমএল) স্যাটেস আগে বিক্রি হতো ৪ টাকা ৪০ পয়সায়, বর্তমানে ৬ টাকায়।লিডোকেইন ১% ডব্লিউভি (২০ এমজি/ ২ এমএল) ইনজেকশনের আগের মূল্য ৩ টাকা ৬ পয়সা, বর্তমানে ৭ টাকা। লিডোকেইন ১% ডব্লিউভি (৫০ এমএল) ইনজেকশন আগে বিক্রি হতো ২০ টাকা, বর্তমানে ৩৫ টাকা। লিডোকেইন ২% ডব্লিউভি (৫০ এমএল) ইনজেকশনের মূল্য আগে ছিল ২৫ টাকা, বর্তমানে ৪০ টাকা। ফলিক এডিস (০.০৫ এমজি/১০০এমএল) ওরাল সলিউশনের (১০০ এমএল) বোতল ৫০ টাকা। ক্লোরফেনিরামিন (২এমজি/৫এমএল) সিরাপের (৬০ এমএল) বোতলের আগের মূল্য ১৩ টাকা, বর্তমানে ২০ টাকা। বেনজাথিন বেনজিল পেনিসিলিন (১২ লাখ ইউনিট/ভায়ল) ইনজেকশনের আগের মূল্য ১৫ টাকা ৬০ পয়সা, বর্তমানে ৩০ টাকা। এ্যসপিরিন (৭৫ এমজি) ট্যাবলেটের আগের মূল্য ৫৫ পয়সা, বর্তমানে ৮০ পয়সা। এ্যসপিরিন (৩০০ এমজি) ট্যাবলেট আগে বিক্রি হতো দেড় টাকায়, বর্তমানে ২ টাকায়।

আপন দেশ ডটকম/এএইচকে/আবা

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়