Apan Desh | আপন দেশ

এবার নাটোর কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

এবার নাটোর কারাগারে বিএনপি নেতার মৃত্যু

ফাইল ছবি: এ কে আজাদ সোহেল

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছয় দিনের ব্যবধানে আসাদুজ্জামান হিরা খান ও গোলাপুর রহমান নামের বিএনপির দুই নেতার মৃত্যুর পর এবার নাটোর জেলা কারাগারে আরেক নেতার মৃত্যু হলো। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) একে আজাদ সোহেল নামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়। মারা গেলেও পরিবারকে খবর দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ কে আজাদ সোহেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ন্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লেলিন। তিনি জানান, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় এ কে আজাদ সোহেলকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৩০ নভেম্বর আদালত এ কে আজাদ সোহেলকে জামিন দেন। পরে কারাগারে তাকে নিয়ে আসতে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায় এ কে আজাদ অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জিয়াউর রহমান লেলিন অভিযোগ করে বলেন, সোহেলকে রাজশাহী মেডিকেলের বারান্দার বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। জামিনের পর কারা কর্তৃপক্ষের মারফতে পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা জানলে তারা গিয়ে সোহেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে আজ তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন<<>> ছয় দিনের ব্যবধানে কাশিমপুর কারাগারে ২ বিএনপি নেতার মৃত্যু

এ কে আজাদ সোহেলের বড় ভাই শামীম হোসেন বলেন, বিনা অপরাধে আমার ভাইকে গ্রেফতার করে জেলে ভরে পুলিশ। নাটোর জেলে অসুস্থ হয়ে রাজশাহীতে আজ দুপুরে মারা যায় সে। মরদেহ এখনো হাসপাতালেই পড়ে আছে। মরদেহ বের করতে পারলে আগামীকাল জানাজা-দাফন হবে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, এ কে আজাদ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে নির্যাতনের পর সে স্ট্রোক করে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।

নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মো. মোশফিকুর রহমান জানান, গত ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার ডাক্তাররা তাকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করলে আমরা তাকে রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেই। সে রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিল।

এ কে আজাদ সোহেলের অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানানো হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হরহামেশাই অনেকে এ রকম অসুস্থ হয়। রাজশাহীর দূরত্ব অল্প হওয়ায় পরিবারকে খবর দেওয়া তখন হয়তো জরুরি মনে হয়নি।

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়