Apan Desh | আপন দেশ

রোজায় বিদেশি ফল আমদানি বন্ধ হচ্ছে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৫১, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৬:৪৭, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

রোজায় বিদেশি ফল আমদানি বন্ধ হচ্ছে!

ফাইল ছবি

আসন্ন রমজানে ফলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। একই সঙ্গে দেশি ফলের মূল্যায়ন করতে চায়। 

এ লক্ষ্যে অতি বিলাসবহুল বিদেশি ফল আমদানি বন্ধ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।তবে রমজানে প্রয়োজনীয় পাঁচটি ফল খেজুর, মাল্টা, আপেল, কমলা ও আঙ্গুর আমদানিতে সহায়তা দেয়ার কথা জানানো হয়েছে। 

অধিদফতরের সভাকক্ষে সোমবার পাইকারি ও খুচরা ফল ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা হয়েছে।  এ কথা জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিউজ্জামান।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করা ড্রাগন, রাম্বুটান, অ্যাভোকাডো ও রকমেলনের মতো বিলাসবহুল ফল সুপারশপ এবং অভিজাত এলাকার ফলের দোকানে অতি উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে দেশি ফলের বাজারে। 

পাশাপাশি আপেল, আঙ্গুর ও কমলার মতো বিদেশি ফলের দামও বাড়ছে। গত দেড় মাস আগে রমজানে অতি বিলাসবহুল ফল আমদানি বন্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। 

এ বৈঠকের পরে আবারও সেটা জানানো হবে। আমরা বলছি অতি বিলাসবহুল ফল আমদানি আপাতত বন্ধ রাখা যেতে পারে। ভবিষ্যতে দেশে এসব বিদেশি ফল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কাজ করতে পারে কি না সেটা দেখতেও আমরা সুপারিশ করেছি। একই সঙ্গে বিদেশি ফল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বিদ্যমান শুল্ক কাঠামো পরিবর্তন করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অতি উচ্চদামের বিদেশি ফল আমদানি বন্ধের সুপারিশ করলেও রমজানে প্রয়োজনীয় পাঁচটি ফল খেজুর, মাল্টা, আপেল, কমলা ও আঙ্গুর আমদানিতে সহায়তা দেয়ার কথা জানানো হয়েছে। 

ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, দেশি ফলে সরবরাহে সমস্যা নেই। তারপরও বাজারে ফলের দাম অস্বাভাবিক। কলার হালি ৫০ টাকায় উঠেছে। একটি কলার দাম সাড়ে ১২ টাকা। এটা অস্বাভাবিক! বিদেশি ফলের দামের কারণে এসব বেড়েছে। এটার সমন্বয় দরকার। 

তিনি বলেন, গত বছর রমজানে তরমুজ নিয়ে অস্থিরতা হয়েছে। সেখানে আমরা বাজারে সিন্ডিকেট পেয়েছি। তখন ক্ষেতে প্রতি পিস ১০০ টাকার তরমুজ বাজারে এনে ৮০০ টাকায় বিক্রির প্রমাণ মিলেছে। পণ্যের হাত বদলে দাম বাড়ছে। কিন্তু সেটা অস্বাভাবিক। এজন্য বিপণন আইন রয়েছে। তাতে লাভের মাত্রা নিয়ে বলা আছে। এ ধরনের পণ্যে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লাভ করা যায়। নিত্যপণ্যে সেটা আরও কম। কিন্তু ব্যবসায়ীরা করছেন কয়েকগুণ। রমজানে সেটা আমরা আরও কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চাই।

আপন দেশ ডটকম/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়