Apan Desh | আপন দেশ

পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০৩, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন?

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর দুই দিন পেরিয়েছে। নানা নাটকীয়তায় অবশেষে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ফলাফল ঘোষণা শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ফলাফল ঘিরে দেশজুড়ে অস্থিরতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমরান খানের দল পিটিআই। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই স্পষ্ট এগিয়ে রয়েছেন। সরকার গঠনের পরিকল্পনা করার ঘোষণা দিয়েছে পিটিআই।

এদিকে, ভোটের পবিত্রতা রক্ষার দাবিতে রোববার সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে পিটিআই। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা না করা, ফলাফলে জালিয়াতির অভিযোগে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে দলটি।

অন্যদিকে, আসন সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনিও জয় দাবি করেছেন। চেষ্টা করছেন বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের।

আরও পড়ুন>> ভোটারদের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আহ্বান মালালার

জানা গেছে, ইমরান খানের দল বেশি আসনে জয়ী হলেও নিয়ম অনুযায়ী, তাদের জন্য সরকার গঠন অনিশ্চিত। কারণ দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় তারা সংরক্ষিত আসন পাবেন না। এতে পাকিস্তানে ২৪তম প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। বাকি ৭০ সংরক্ষিত আসন, যার মধ্যে ৬০ নারীদের ও ১০টি অমুসলিমদের জন্য। এবার একটি আসনের নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। তাই মোট ২৬৫ আসনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে দলগুলোকে। 

নির্বাচনে এককভাবে বিজয়ী হতে অন্তত ১৩৪ আসন পেতে হবে তাদের। আর পাকিস্তানের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ পেতে পারে না। মূলত ৭০ আসন দলীয় শক্তি অনুযায়ী বণ্টন করা হয়। এর মধ্যে ২০ আসন পেতে পারে নওয়াজ শরিফের দল।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, পাকিস্তানের কারাবন্দি বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল সমর্থিত প্রার্থীরা সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছেন। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর একজন সিনিয়র সহকারী শনিবার জানিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ না হলে সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করারও আহ্বান জানানো হয়।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ২৬৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছে ১০১টিতে। যাদের বেশিরভাগই ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত। পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) যথাক্রমে ৭৫ ও ৫৪ আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া মুত্তাহিদা ক্বওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউম) জিতেছে ১৭ আসন। বাকি দলগুলো মোট ১৪ আসনে জয় পেয়েছে।

মূলত ইমরান খানের পিটিআই’কে দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। এমনকি তাদের নির্বাচনী প্রতীকও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। আর তাই ইমরানের দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।

এদিকে, ইমরান খান ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফ উভয়ই শুক্রবার বিজয় ঘোষণা করেছেন। এই অবস্থায় কে পরবর্তী সরকার গঠন করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। সেটিও আবার এমন এক সময়, যখন দেশটিতে একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দ্রুত নীতিগত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এমন অবস্থায় পিটিআই’র চেয়ারম্যান গহর খান পাকিস্তানের ‘সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে’ তার দলের ম্যান্ডেটকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যারিস্টার গহর ইমরানের খানের আইনজীবী হিসেবেও কাজ করেন।

ইমরান খানের শত শত সমর্থক পেশোয়ারে সমাবেশ করেছে। তারা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও তাদের পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে। ইমরান খানের সাবেক প্রাদেশিক মন্ত্রীদের একজন তৈমুর খান ঘাগরা বলেছেন, “আমরা কখনওই আশা করিনি, আমাদের সাথে এমনটি ঘটবে।” এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।

ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও মিডিয়া উপদেষ্টা জুলফি বুখারি রয়টার্সকে বলেছেন, চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পরের দিনই ঘোষণা করা হবে যে, কোনও দলীয় ব্যানারে তারা স্বতন্ত্রদের যোগ দিতে বলবে। 

সূত্র: ডন নিউজ, রয়টার্স

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়