Apan Desh | আপন দেশ

বাইডেনের ওপর ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪০, ২৬ মার্চ ২০২৪

বাইডেনের ওপর ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। এ নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। যা প্রথম। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রস্তাব এসেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে তা গ্রহণ হয়নি। 

সোমবারের (২৫ মার্চ) ভোটে ভেটো দেয়নি ওয়াশিংটন। তারা ভোট দেয়া থেকে বিরত থেকেছে। ফলে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থানে বাইডেন প্রশাসনের ওপর প্রবল ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

গাজায় যেভাবে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জাতিসংঘে গাজা সংঘাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এর আগেও নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে প্রস্তাবনা এসেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দিয়েছে। 

বস্তুত, রাশিয়াও একবার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। কিন্তু সোমবার যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই ভোটে অংশ নেয়নি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েছে প্রস্তাব গৃহীত হোক। তাই তারা ভোটে অংশ নেয়নি।

চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরের কথা ছিল ইসরায়েলের একটি সিনিয়র প্রতিনিধি দলের। সেখানে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে আক্রমণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে সোমবারে যুক্তরাষ্ট্রের মৌনতার পর সেই সফর বাতিল করেছেন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলের যে প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা ছিল, আপাতত তারা সেখানে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন।’

আরও পড়ুন>> ফিলিস্তিনি ৮০০ বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল?

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করা অত্যন্ত দুঃখজনক। রাফাহ ছাড়া আর কোন পথে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে।’

কিরবি দাবি করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজা নিয়ে তাদের অবস্থান বদলে ফেলেছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। তারা ভোটে অংশ নেয়নি কারণ, প্রস্তাবে হামাসের যথেষ্ট বিরোধিতা করা হয়নি। তবে প্রস্তাবে পণবন্দিদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে। যদিও তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির দাবি মেলানো হয়নি।’

অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ কাজ স্পষ্ট করে দিল, তারা আগের অবস্থান থেকে সরে আসছে। এর ফলে গাজায় যে অভিযান চলছে তা ব্যাহত হবে। সেই সঙ্গে বন্দিদের মুক্ত করা আরও সমস্যার হবে।’

নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘এর ফলে যুদ্ধবিরতির সমান্তরালে বন্দিদের মুক্তির যে চাপ হামাসের উপর তৈরি করা হয়েছিল, তা আর ধোপে টিকবে না।’

এর আগে, সোমবার গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, সব জিম্মির শর্তহীন মুক্তির কথা বলা হয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ রাষ্ট্র প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত থাকে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র।

ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসে বিলম্বের জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবের সবকিছুর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত নয়। তাই আমরা ভোটদানে বিরত ছিলাম।’

মার্কিন দূত আরও বলেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু সংশোধনের প্রস্তাব উপেক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল হামাসের নিন্দা জানানোর আমাদের প্রস্তাব। তবে জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হলে গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহ বাড়বে।’

সূত্র: রয়টার্স, ডিডব্লিউ

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়