Apan Desh | আপন দেশ

নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পাচার সম্পদ জব্দের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ৯ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ১১:২০, ৯ আগস্ট ২০২৩

নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পাচার সম্পদ জব্দের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

ম্যাথিউ মিলার, ছবি: মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর

বিশ্বজুড়ে দুর্নীতি দমনে শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞাই নয়, পাচারকৃত সম্পদ জব্দ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে যেসব দেশে সম্পদ পাচার হয়েছে, সেসব দেশকে যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করা হবে, যাতে তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মামলাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। এমনটিই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। 

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (৯ আগস্ট) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমনবিষয়ক সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউয়ের সফরবিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন শাখার সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ তার বাংলাদেশ সফর শেষ করেছেন। এই সফরে তিনি বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তার সফরের সময় দেশের ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার একটি ভয়াবহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ১০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি পাচার করেছেন এবং দেশের বাইরে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। স্টেটওয়াচ ডট নেট এবং ওসিসিআরপিও এস আলম গ্রুপের ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিষয়ে একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। 

এ ছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে রিচার্ড নেফিউর বৈঠকের সময় তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, নিষেধাজ্ঞাকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। আমার প্রশ্ন হলো, মার্কিন সরকার কি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে? বিশেষ করে যারা দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের ওপর? 

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘যেহেতু আমি একটু আগেই অন্য একটি দেশের (উত্তর কোরিয়া) প্রসঙ্গে ভিন্ন একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম, আমরা কখনোই কোনো ঘটনা ঘটার আগে সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনা করি না। সাধারণভাবে বলতে গেলে, নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি হাতিয়ার হতে পারে। তবে আমাদের কাছে অন্যান্য উপায়ও রয়েছে। যেমন— পাচারকৃত সম্পদ জব্দ করা এবং আমাদের মিত্র দেশগুলোতে তথ্য সরবরাহ করা, যাতে সংশ্লিষ্ট পাচারের বিষয়ে তারা মামলা করতে পারে। যারা দুর্নীতিবাজ এবং তাদের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের নিরপেক্ষভাবে নির্মূল করতে আমরা বাংলাদেশকে উৎসাহ দিই।’ 

এদিকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে একদল মানুষ বিক্ষোভ করে। এ বিষয়ে ম্যাথিউ মিলারের কোনো মন্তব্য রয়েছে কিনা, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকবার স্পষ্ট করেছি, এই মঞ্চ থেকেই আমি অনেকবার স্পষ্ট করেছি, আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা তা প্রকাশ্যে স্পষ্ট করেছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলাপের সময়ও এটি পরিষ্কার করেছি এবং আমাদের এই নীতি অব্যাহত থাকবে।’

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়