Apan Desh | আপন দেশ

জরিমানা দিয়ে দুদকের মামলা থেকে জমির উদ্দিনের মুক্তি

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ৯ জুলাই ২০২৩

জরিমানা দিয়ে দুদকের মামলা থেকে জমির উদ্দিনের মুক্তি

ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার -ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন করার অভিযোগে দুদকের পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। রোববার (৯ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন।

এর আগে গত ৬ মার্চ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক এই স্পিকারের বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলায় ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার আদেশ দেন একই আদালত। এ টাকা জমা দিলে তাকে পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে বিচারক তার আদেশে উল্লেখ করেন। এরপর গত ১৪ মার্চ জমির উদ্দিন সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অন্যান্য আদায় খাতে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জমা দেন। আদালত এ বিষয় আদেশের জন্য আজ (৯ জুলাই) দিন ধার্য করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরে-বাংলা নগর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এস এম খবির উদ্দিন। এতে জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তুলেছেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট জমির উদ্দিন সরকারের পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।


পরে এ পাঁচ মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং অভিযোগ আমলে নেন আদালত। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে জমির উদ্দিন সরকার হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন।

এরপর শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানেরহাইকোর্ট বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির একক বেঞ্চ। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রায় দেন আদালত।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়