Apan Desh | আপন দেশ

মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ, বিএলআইয়ের নথিপত্র চেয়েছে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ২৭ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ০৩:১১, ২৮ আগস্ট ২০২৩

মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ, বিএলআইয়ের নথিপত্র চেয়েছে বিএসইসি

ফাইল ছবি

ঢাকা: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড তালিকাভুক্ত অপর কোম্পানি বে-লিজিং ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের (বিএলআই)  সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেডকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল।

ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)তরফ থেকে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। বিএসইসি সাউথইস্ট ব্যাংককে ৩০ আগস্টের মধ্যে তদন্ত কমিটির কাছে সংশ্লিষ্ট সব নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। 

অন্যদিকে, ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে বিএসইসিতে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে।

বিএসইসি ব্যাংকটিকে প্রি-প্লেসমেন্ট হিসাবে ১ কোটি ৫০ লাখ ইএম পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার কেনার অনুমোদন এবং বিতরণ সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দেয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছে। ব্যাংকটি ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রিমিয়ামসহ মোট ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ইএম পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার কিনেছে।

আরও পড়ুন <<>> বেস্ট হোল্ডিংসের ভয়ঙ্কর জালিয়াতি! শেয়ার বাজারে আসছে

এর আগে চলতি আগস্টের শুরুতে বিএসইসি একই ঋণদাতার কাছ থেকে ঋণের মাধ্যমে প্রাপ্ত শেয়ার অধিগ্রহণের মাধ্যমে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক পদে একজন ব্যক্তির স্থানান্তর সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে। কমিটি ব্যাংকের ইএম পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার কেনার বিষয়েও তদন্ত করবে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছর বিএসইসি চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছিল। ঋণ অনুমোদন লঙ্ঘন ও অপব্যবহারের তথ্য প্রমাণিত হওয়ায় গত ডিসেম্বরে ব্যাংকটির তৎকালীন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ মার্চেন্ট ব্যাংক বিএলআই ক্যাপিটালকে ২০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে। ঋণের অর্থের একটি অংশ সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রায়ান কবিরের বিও অ্যাকাউন্টে বিএলআই সিকিউরিটিজের অ্যাকাউন্টে পাঁচটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়। যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের লঙ্ঘন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০ কোটি টাকার ঋণ ব্যবহার করে রায়ান কবির সেই বিও অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ কোটি টাকার ব্যাংকের ২ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন এবং ২০২০ সালের অক্টোবরে ব্যাংকের পর্ষদে বসেন।

২০২২ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই সার্কুলার অনুযায়ী রায়ান কবিরকে পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়